মেয়েদের ইসলামিক নাম । মেয়ে শিশুদের ইসলামিক নাম । জন্মের পর শিশুর জন্য অর্থবহ সুন্দর একটি নাম রাখা প্রত্যেক বাবা-মায়ের কর্তব্য। শিশুর সুন্দর নাম রাখা নিয়ে ইসলামে এর গুরুত্ব অনেক। তাই নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিশুর সুন্দর নাম দেখতে হবে এবং মন্দ নাম রাখা থেকে হেফাজত বা সতর্ক থাকতে হবে। কারণ শিশুর নামের কারণে তার মন-মানসিকতার মিল পাওয়া যায়।
মেয়েদের ইসলামিক নাম শুধু পরিচয়েরই বাহন নয়; বরং ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা ও রুচি-অভিরুচিরও আয়না স্বরূপ। সুন্দর নাম মন-মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে এবং মন্দ নামেরও কিছু না কিছু প্রভাব ব্যক্তির উপর থাকে। এটা আপনাকে মানতে হবে।
হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রা.-এর এক মেয়ের নাম ছিল আছিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জামীলা। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৩৯
কারণ, আছিয়া শব্দের একটি অর্থ, নাফরমান, অবাধ্যচারিনী। এ নামের মধ্যে আল্লাহ তাআলার অবাধ্যাচরণের ইঙ্গিত রয়েছে। তাই কোনো মুসলমানের জন্য এ ধরনের নাম রাখা উচিত নয়।
আবদুল হুমাইদ বিন শায়বা বলেন, আমি হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিবের কাছে বসা ছিলাম। তিনি তখন বললেন, আমার দাদা ‘হাযান’ একবার নবীজীর দরবারে উপস্থিত হলেন। নবীজী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? দাদা বললেন, আমার নাম হাযান। (হাযান অর্থ শক্তভূমি) নবীজী বললেন- না, তুমি হচ্ছ ‘সাহল’ (অর্থাৎ তোমার নাম হাযানের পরিবর্তে সাহল রাখো; সাহল অর্থ, নরম জমিন।) দাদা বললেন, আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন আমি তা পরিবর্তন করব না। সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেন, এর ফল এই হল যে, এরপর থেকে আমাদের বংশের লোকদের মেযাজে রুঢ়তা ও কর্কশভাব রয়ে গেল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১৯৩। অতএব মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখতে হবে খুব ভালোভাবে। আরবী নাম হলেই যে সুন্দর নাম হবে তা কিন্তু নয়। সুতরাং নাম পছন্দ করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হতে হবে।